কুমিল্লা মডার্ন হাই স্কুলের ইতিকথা

১৯৬১ সালের ১ লা জুলাই বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ”একুশে পদক প্রাপ্ত পি.টি.আই রে সুপারেনটেন্ডেন্ট মরহুম এম.এ কুদ্স চিল্ডরেন্স হােম” নামে একটি প্রাইমারী স্কুল স্থাপন করেন। ১৯৬২ সালে স্কুলটির নাম পরিবর্তন করে “মডার্ণ স্কুল” নামকরন করা হয়। মরহুম এম.এ কুন্দল ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৭ সালের মধ্যে তৎকালীন জেলা প্রশাসকের সাথে চুক্তিপত্র করে তিন দফায় ২.৪৯ একর (দুই একর ঊনপঞ্চাশ শতক) সরকারী সম্পত্তি ৬৪,০০০/- (চৌষট্টি হাজার) টাকার বিনিময়ে অধিগ্রহন করেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মরহুম এম.এ কুদ্স এর পরিচালনায় মডার্ণ স্কুলটি সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে একটি আদর্শ প্রাইমারী স্কুল হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করে। তিনি ১৯৭০ সালের যে মাস পর্যন্ত বিদ্যালয়টিতে পরিচালনার দায়িত্বে থেকে তাঁর অর্জিত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে একটি আদর্শ বিদ্যালয় গড়ার চেষ্টায় ব্রতী ছিলেন। ১৯৭০ সালের ২৫শে মে বিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন করেন ভিক্টোরিয়া কলেজের প্রফেসার খােরশেদ আলম। এভাবে নানা পরিবর্তনের মাধ্যমে ১৯৯২ সালে মডার্ণ স্কুলের পরিচালনা পর্ষদ মডার্ণ স্কুলের শিক্ষাকদের আবাসিক জায়গা থেকে শিক্ষকদেরকে উচ্ছেদ করে ১.০০২৫ একর (এক একর পঁচিশ সেন্ট) জমির উপর “মডার্ণ হাই স্কুল চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। ০১/০১/১৯৯৩ সালে ০.৪৯৭৫ একর (উনপঞ্চাশ শতক পঁচাত্তর সেন্ট) জায়গার উপর মডার্ণ হাই স্কুলটি চালু হয়। মডার্ণ হাই স্কুলটি চালু হওয়ার কয়েক বছরের মধ্যে এর সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ২০০৫ সালে চট্টগ্রাম বিভাগে ”মডার্ণ হাই স্কুলটি শ্রেষ্ঠ বালক বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এস.এস.সি পরীক্ষার ফলাফলের। ভিত্তিতে এটি কুমিল্লা বাের্ডে ২০০৮ সালে ৩য় ও ২০০৯ সালে ৪র্থ স্থান অর্জন করে। বিগত বছরগুলােতে জে.এস.সি ও এস.এস.সি পরীক্ষায় A+ (এ প্লাস) প্রাপ্তির দিক থেকে এটি কুমিল্লা বাের্ডে শীর্ষস্থান দখল করে রেখেছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে প্রভাতী শাখায় ২৭৯৫ জন ছাত্রী এবং দিবা শাখায় ৩০৮১ জন ছাত্র সহ মােট ৫৮৭৬ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশ পেলে কুমিল্লা মডার্ণ হাই স্কুলটি সমগ্র বাংলাদেশে একটি আদর্শ স্কুল হিসেবে আত্নপ্রকাশ করে কুমিল্লা বাসীর আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

[বিঃদ্রঃউল্লেখিত তথ্যাবলী এম.এ. কুদুস সাহেবের রচিত গ্রন্থ ও বিদ্যালয়ের রেকর্ড থেকে সংগৃহীত।]