১৯৭১ সাল-
* ’৩ মার্চ তারিখ’ ইয়াহইয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহবান করেন। ভুট্টো অধিবেশনে যোগদান করতে অস্বীকার করেন।
* ২ মার্চ ঢাকায় ও ৩ মার্চ সারাদেশে অধিবেশন স্থগিত করার প্রতিবাদে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে হরতাল পালিত হয়।
* ৭ ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) এক বিশাল জনসভায় ভাষন দেন। বঙ্গবন্ধু ঘোষনা করেন,
” এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”
তিনি আরও বলেন, ”রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দিব, এইদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ।”
* ৭ মার্চের ভাষন থেকে বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার অনুপ্রেরনা ও মুক্তিযুদ্ধের নির্দেশনা পায়। বাঙালি জাতির ইতিহাসে এ ভাষন এক স্মরনীয় দলিল। ৭ মার্চের ভাষনের পর থেকেই দলমত নির্বিশেষে ৮ মার্চ থেকে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়।
* ১৭ মার্চ টিক্কা খান, রাও ফরমান আলী- ’অপারেশন সার্চ লাইট’ বা বাঙালির উপর নৃশংস হত্যাকান্ড পরিচালনার নীল নক্্সা তৈরী করেন।
* ২৫ মার্চ রাতে পৃথিবীর ইতিহাসে বর্বরতম গনহত্যা ’অপারেশন সার্চলাইট’ শুরু হয়। ইয়াহিয়া ও ভুট্টো ২৫ মার্চ গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন।
* ২৬ মার্চ (২৫ মার্চের কালরাত্রিতেই) প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষনা করেন এবং ওয়্যারলেসে তা পাঠিয়ে দেন। এবং ২৬ মার্চ আনুমানিক রাত ১টা ৩০মিনিটে (মধ্যরাতে) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে গোপনে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায়।
স্বাধীনতার ঘোষনাঃ
২৫ মার্চ রাত ১২ টার পর অর্থাৎ ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষনা দেন। ঘোষনাটি ছিল ইংরেজীতে।
ঘোষনার বাংলা অনুবাদঃ
”ইহাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগনকে আহবান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছে, যাহার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ কর। পাকিস্তানে দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতারিত না করা পর্যন্ত এবং চুড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও।”
স্বাধীনতার এ ঘোষনা বাংলাদেশের সকল স্থানে তদানিন্তন (ঊচজ) ইপিআর এর ট্রান্সমিটার, টেলিগ্রাম ও টেলিপ্রিন্টারের মাধ্যমে প্রচার করা হয়।